কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম ও সাবমিটার ব্যবহার করার নিয়ম

কারেন্ট বিল আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়আমাদের পাশের বাড়িতে তাহলে কি পরিমাণ কারেন্ট ব্যবহার করছি আমরা কখনও এটা ভেবে দেখি না তাই আজ আমি এতে সহজে বের করা উপায় নির্ণয় করব।

কারেন্ট বিলের হিসাব ঘরে বসে সহজে কিভাবে করা যায়


কারেন্ট বিলের হিসাব সব সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার মাসিক খরচের একটি বড় অংশই কারেন্ট বিল। কারেন্ট বিলের হিসাব করতে গেলে অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যন্ত্রপাতির ব্যবহার, ঘরের আকার, আবহাওয়া এবং বিদ্যুৎ কোম্পানির দাম সবকিছুই বিভাজ্য এই ব্লগে আমরা আপনাকে কারেন্ট বিলের সঠিক হিসাব করতে সাহায্য করবো।আপনাকে জানাবো কিভাবে কারেন্ট এর খরচ কমিয়ে আনা যায়।
সবশেষে আপনি যেন সহজেই কারেন্ট বিল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সেই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসমূহ ও কৌশল শেয়ার করব। কারেন্ট বিলের হিসাব কারেন্ট বিল হিসাব করার জন্য প্রথমে আমরা একটি নিয়ম অনুসরণ করব এবং পরে তা বাসা বাড়িতে বা যে কোন স্থানে কারেন্ট বিল হিসেব করার জন্য ব্যবহার করতে পারব।
  • নেট বিল=এনার্জি বিল+মিটার বিল
  • এনার্জি বিল=এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ(KWh)*প্রতি ইউনিটের মূল্য মিটার বিল=ডিমান্ড চার্জ+সার্ভিস চার্জ
  • ডিমান্ড চার্জ= টাকা পার কিলোওয়াট 
  • সার্ভিস চার্জ=১০ টাকার সিঙ্গেল পেজের জন্য ৩০ টাকা থ্রি পেজ এর জন্য 
  • ভ্যাট =নেট বিলের সাথে ৫% 
যোগ নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর বিল পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা=নেট বিলের সাথে ৫% যোগ বাসার বাড়িতে আমরা যে ধরনের লোড ব্যবহার করি:
  • লাইটসাধারণত=৫০-৮০ওয়াট
  • টেলিভিশন=২৫-১০০ ওয়াট
  • ল্যাপটপ=২০-৬০ওয়াট 
  • রেফ্রিজারেটর=৮০-২০০ওয়াট 
  • এসি=১০০০-৩০০০ওয়াট 
  • আইরন=৫০০-১০০০ওয়াট
  • পাম্প মটর=১/৮ থেকে ৩ হর্স পাওয়ার 
  • ডেক্সটপ কম্পিউটার=৮০-২৫০ওয়াট 
আমরা বলছি না যে এই লোড গুলো ব্যবহার করব এবং তা এই ওয়াটের ভিতরেই এ লোড এবং ওয়ার্ডগুলো দেওয়া হয়েছে আপনাদের সাধারণ একটি ধারণা দেওয়ার জন্য এটি দেওয়া হলো। 

লোডের হিসাব সম্পর্কে বিস্তারিত 

উপরোক্তা আলোচনায় আমরা দেখেছি কারেন্ট বিল হিসাব করার জন্য একটি নিয়ম।সেখানে উল্লেখ আছেনেট বিল= এনার্জি বিল+মিটার বিল 
এনার্জি বিল জানার জন্য এবার প্রথমে আমরা আমাদের জানতে হবে একমাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ(KWh) ও প্রতি ইউনিটের মূল্য। তাহলে আমাদের ৯০% কাজ শেষ।
পরিমাণে জানার জন্য আমাদের লোডের হিসাব করতে হবে অর্থাৎ কি কি লোড আমরা ব্যবহার করছি ও সে লোড গুলো কত ওয়াটের। 
  • যদি লোড ওয়াটে দেওয়া থাকে তাহলে সেটা W এর মান। এখানে W মানেই Watt. 
  • কারেন্ট এবং ভোল্টেজ মান দেওয়া থাকলে তা পাওয়ারের সূত্রে দিয়ে বের করতে পারেন। তাহলে সূত্র শুরুতে প্রথমে ইনভারটেড কমান্ড দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • হর্স পাওয়ারে দেওয়া থাকলে৭৮৬ দিয়ে গুন করে W মানেwatt এ নিতে হবে। 
  • Wকে KW নিতে হবে অর্থাৎ w কে ১০০০দিয়ে ভাগ করে কিলোওয়াট নিতে হবে। 
  • KW এ সময় (ঘন্টা) দিয়ে গুন করে ইউনিট বের করতে বের। 

বাসা বাড়িতে কারেন্ট বিলের হিসাব করার নিয়ম 

একটি বাসা বাড়ির উদাহরণ দেখব যেখানে প্রতি মাসে কেমন বিল আসতে পারে।
উদাহরণ: একটি বাসা বাড়িতে ৮০ ওয়াট এর দুটি ফ্যান ,৪০ ওয়াটের তিনটি লাইট, ২২০ ভোল্টেজ,০.৪A,০.৮pf এর একটি টেলিভিশন এবং ২hp এর একটি পানি তোলার মটর দৈনিক গড়ে ৬ ঘন্টা চলে তাহলে ডিসেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল কত টাকা হবে যদি প্রতি ইউনিটের মূল্য ৬.৫ টাকা হয়। 
সমাধান,
  • ৮০ ওয়াট এ দুটি ফ্যান ১দিনে যে ওয়াট খরচ করবে=৮০*২=১৬০W 
  • ৪০ ওয়াটের ৩ লাইটের জন্য ১ দিনে যে ওয়াট খরচ করবে=৪০*৩=১২০W 
  • ১টি টেলিভিশনের জন্য এ১দিনে যে ওয়ার্ড খরচ করবেp=VICOS=২২০*০.৪*০.৮=৭০.৪W 
  • ২hp একটি মোটর একদিনে যে ওয়াট খরচ করবেন =২*৭৪৬=১৪৯২ 
তাহলে একদিনে সরমর যে ওয়ার্ড খরচ হবে=(১২০W+১৬০W+৭০.৪W+১৪৯২W)=১৮৪২.৪W 
আমরা জানি ও ওয়াট ১০০০কে দিয়ে ভাগ করলে কিলোওয়াট পাবো। 
তাহলে একদিনে যে কিলোওয়াট খরচ হবে=১৮৪২.৪/১০০০=১.৮৪২৪W 
আমাদের লোড গুলো কিন্তু সারাদিন চলবে না শুধুমাত্র ৬ ঘন্টা চলবে যা আমরা উদাহরণে দেখেি। তাহলে ৬ ঘন্টা করে চললে=১.৮৪২৪*৬=১১.০৫৪৪KWh এবার আমরা পুরো মাসের মোট ইউনিট খরচ বের করব, 
ডিসেম্বরমাস=৩১দিনতাহল এইমাসেরমোটইউনিট খরচ হবে=১১.০৫৪৪*৩১=৩৪১.৬৮৬KWh(ইউনিট) দেওয়া আছে, প্রতি ইউনিটের মূল্য ৬.৫ টাকা করে।
ওই মাসের বিদ্যুৎ বিল হবে=৩৪২.৬৮৬*৬.৫=২২২৭.৪৬ টাকা। 
আমরা এতক্ষণ পুস্তকের ভাষায় গাণিতিক সমাধান বের করে দেখিয়েছি এখন দেখব বাস্তবিক হিসাব।

কারেন্ট বিলের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ 

কারেন্ট বিলের ধারনার সম্পর্কে বোঝা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একবার আমরা বুঝতে পারি কিভাবে কারেন্ট বিল তৈরি হয়। তখন আমরা সহজে এর ব্যবস্থাপনা করতে পারি। নিম্নে এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কারেন্ট বিলের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করবো। বিলের উপাদান
কারেন্ট বিলের উপাদান গুলো সাধারণত নিজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে: 
  • বেসিক চার্জ: একটি নির্দিষ্ট এককভাবে প্রযোজ্য হয়।
  • ইউনিট চার্জ: ব্যবহৃত বিদ্যুতের ইউনিটের উপর ভিত্তি করে। 
  • সার্ভিস চার্জ: এটি পরিষেবা প্রদানের জন্য নেওয়া হয়। 
  • ট্যাক্স:সরকারের নির্ধারিত কর। 

ইউনিট ও মিটার রিডিং 

ইউনিট ও মিটার রিডি কারেন্ট বিল নির্ধারণের সময় ইউনিট ও মিটার রিডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি কারেন্টের মিটারের মাধ্যমে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবহার পরিমাপ করা হয়। মিটার রিডিং থেকে ব্যবহৃত ইউনিট নির্ধারণ করা হয়। প্রতি মাসে মিটার রিডিং সংগ্রহ করা হয় এবং তার ওপর ভিত্তি করে আপনার বিল তৈরি হয়। সঠিকভাবে নেওয়া জরুরী ভুল রিডিং বিলের ভুল হিসাবের কারণ হতে পারে। 

বিল গণনার প্রয়োজনীয়তা

বিল গণনা সঠিকভাবে না হলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। মাসের শেষের দিকে অনেকেরই এই সমস্যা সম্মুখীন হন। অতিরিক্ত বিল এড়াতে নিয়মিত মিটারের রিডিং নিন। প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন সঠিকভাবে কারেন্ট ব্যবহার করলে বিল কম আসবে। কারেন্ট বিল হিসাব করলে কারেন্ট সাশ্রয় করা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় আলো, ফ্যান, এয়ারকন্ডিশনার বন্ধ রাখুন কারেন্ট সাশ্রয় করলেও পরিবেশও ভালো থাকবে। 
নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কানের সাশ্রয় সম্ভব। সোলার প্যানেল এলইডি বাল্ব ব্যবহার করুন এতে কারেন্টের খরচ অনেক কমে আসবে। অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহারের সুবিধা কারেন্ট বিল হিসাবের জন্য এখন আর লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় না। 

অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার

অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহজেই কারেন্ট বিল দেখা ও পরিশোধ করা যায়। সরকারি অ্যাপ অনেক সরকারি অ্যাপ কারেন্ট বিল হিসাব ও পরিশোধ এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হয় বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি ব্যবহার করা সহজ প্রাইভেট অ্যাপ প্রাইভেট অ্যাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করা যায়। নতুন ফিচার থাকে কাস্টমার সাপোর্ট ভালো অ্যাপ ইন্টারফেস আকর্ষণীয় আমরা জানি কিছু প্রাইভেট অ্যাপ অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে থাকে যেমন নোটিফিকেশন পাঠানো অটোমেটিক বিল পেমেন্ট।
অ্যাপগুলো ব্যবহার ক্ষেত্রে প্রথমে অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুব সহজভাবে পূরণ করতে হবে ফাস্ট ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড দিলে লগইন করে বিল দেখা যায়। 

বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য সঠিক মিটার রিডিং 

মিটার রিডিং ও সংগ্রহের পদ্ধতি বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য সঠিক মিটার রিডিং সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরী। মিটার রিডিং সংগ্রহের পদ্ধতির সঠিকভাবে না জানলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসতে পারে। নিম্নে আলোচনা করা হলো,
অ্যানালগ মিটার: এনালগ মিটার সাধারণত পুরানো ধরনের মিটার। এতে একটি ডায়াল থাকে যা বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ দেখায়। নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করে এনালগ মিটার রিডিং নিতে পারেন। তুমি মিটারের ডায়াল গুলোর দিকে নজর দিন। প্রত্যেক ডায়াল একটি সুযোগ থাকে যার সংখ্যার দিকে নির্দেশ করে। ডায়ালের সংখ্যাগুলো একের পর এক পড়ুন। ডান থেকে বাম দিকে পড়ুন এবং প্রতিটি সংখ্যার মান নোট করুন। 
ডিজিটাল মিটার : ডিজিটাল মিটার আধুনিক এবং সহজে পড়া যায়। একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে থাকে যা সরাসরি কারেন্টের খরচের পরিমাণ দেখায় ডিজিটাল মিটার রিডিং নিতে পারেন যেভাবে,
প্রথমে মিটারের ডিসপ্লে দেখতে হবে। ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত সংখ্যাগুলো পড়ুন। এই সংখ্যাগুলোই আপনার বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ নির্দেশ করে। সংখ্যাগুলো নোট করুন এবং পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করুন। 

বিল গণনার ধাপসমূহ

কারেন্ট বিল হিসাব কিভাবে করা যায় তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে বিল গণনা করতে পারলে আপনি আপনার খরচ কমাতে পারবেন। এখানে আমরা কারেন্ট বিলের মূল ধাপসমূহ নিয়ে আলোচনা করব। 
মাসিক ইউনিট খরচ প্রথম ধাপ হল আপনার মাসিক ইউনিট খরচ জানা। আপনার বিদ্যুৎ মিটার মাসিক ইউনিট ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যাবে। প্রতিটি ইউনিটের পরিমাণ মিটারের উল্লিখিত থাকে। এক মাসে কতগুলো ইউনিট ব্যবহার করেছেন তা বের করুন। 
প্রতিদিনের ব্যবহার যোগ করে মাসিক হিসাব করুন। এই তথ্য আপনার মিল গণনা করার মূল ভিত্তি। ট্যারিফ রেট পরবর্তী ধাপ হল ট্যারিফ রেট জানা বিভিন্ন ট্যারিফ রেট বিভিন্ন ইউনিট ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য। সাধারণত সরকার বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এই রেট নির্ধারণ করে। আপনার কারেন্ট বিলের হার আপনার মিটার অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।ট্যারিফ রেট অনুযায়ী আপনার ইউনিট খরচের ওপর ভিত্তি করে বিল বের করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ যদি প্রতি ইউনিটের রেট ৫ টাকা হয় এবং আপনি ১০০ ইউনিট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বিল হবে ৫০০ টাকা।

বিল পরিশোধের পদ্ধতি 

বিল পরিশোধের পদ্ধতি অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি কারেন্ট বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয়। এই পদ্ধতিতে আপনি খুব সহজে আপনার বিল পরিশোধ করতে পারেন। 
  • মোবাইল অ্যাপ: আপনি নিকটস্থ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে কারেন্ট বিল পরিশোধ করতে পারেন। 
  • পোস্ট অফিস: পোস্ট অফিসে যেও কারেন্ট বিল পরিশোধ করার ব্যবস্থা রয়েছে। 
  • বিদ্যুৎ অফিসে: বিদ্যুৎ সরবরাহকারি সংস্থার অফিসে গিয়ে সরাসরি বিল পরিশোধ করতে পারেন। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য এই পদ্ধতি গুলো সহজ এবং সুবিধাজন। 
আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী যে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনারা কারেন্ট বিল দিতে পারেন। 

বিল সম্পর্কিত সাধারণ সমস্যাগুলো 

কারেন্ট বিল পাওয়ার পর অনেক গ্রাহক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যা গুলো নির্ধারণ ও সমাধান না হলে, গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। নিচে কিছু সাধারণ সমস্যা উল্লেখ করা হলো,
যা কারেন্ট বিল এর সাথে সম্পর্কিত রয়েছে, অনিয়মিত মিটার রিডিং ভুল হিসাব সঠিক সময় বিল প্রদান না করা আমাদের সকলের উচিত এ ধরনের সমস্যাতে যেন না পড়ি সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা। 
এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে মিটার রিডিং যাচাই করা উচিত। মিটারের সমস্যা মিটারের সমস্যা ও কারেন্ট বিলের অসামঞ্জস্য তার একটি প্রধান কারণ মিটার সঠিকভাবে কাজ না করলে বিদের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে মিটারের সমস্যা গুলো সাধারণত যেগুলো হয়ে থাকে তার নিম্নরূপ, মিটার সঠিকভাবে কাজ না করা, মিটার রিডিং এর ত্রুটি থাকা, মিটার সংযোগ সমস্যা থাকলে ,মিটারের সমস্যা নির্ধারণ ও সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করা উচিত। মিটারের সমস্যা সমাধান না করলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

কারেন্ট সাশ্রয়ের উপায় ও এর ব্যবহার 

কারেন্ট সাশ্রয়ের উপায়ে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে আমাদের কারেন্ট বিল কমানোর অনেক সুযোগ থাকে। কারেন্ট শাস্ত্রে করা কেবলমাত্র অর্থশাস্ত্র করে তা না পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সুতরা কারে সাশ্রয়ের কয়েকটি কার্যকর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হল, 
অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমানো: প্রথম এবং প্রধান উপায় হলো অপ্রয়োজনীয় কারেন্টের ব্যবহার কমানো অপ্রয়োজনীয় লাইট বন্ধ রাখুন দিনের আলো ব্যবহার করুন ঘরে কেউ না থাকলে ফ্যান এয়ার কন্ডিশন বন্ধ রাখুন। বিজলির যন্ত্রপাতি ব্যবহার সীমিত করুন। রান্নার সময় মাইক্রোওভেন এর পরিবর্তে গ্যাস-স্টোপ ব্যবহার করুন টিভি দেখার পর সেট বন্ধ রাখুন। কম্পিউটারের কাজের ফাঁকে কম্পিউটার স্লিপ মুডে রাখুন। 
উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার: উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার কারেন্ট শাস্ত্রে একটি বড় উপায় এলইডি লাইট ব্যবহার করুন্ এলইডি লাইট কম কারেন্টের খরচ করে। এনার্জি ইফিসিয়েন্ট যার কন্ডিশনার এবং ফ্রিজ ব্যবহার করুন সোলার প্যানেল ইন্সটল করুন। সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ বিল কমায়। উন্নত প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন বিদ্যুৎ শাস্ত্রয়ের জন্য স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট ব্যবহার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url