ফাইভারে একাউন্ট খোলার নিয়ম- ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম কোন কাজের চাহিদা বেশি যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেল আপনার জন্যই। কিভাবে কাজ পাওয়া যায় এবং ফাইভার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম কোন কাজে চাহিদা বেশি আজকের আর্টিকেলে আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। 
বর্তমান সময়ে এসে ফাইভার হচ্ছে মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয় একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। যেখান থেকে মানুষ কাজ করে আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বাকি সবার মত আপনিও যদি ভেবে থাকেন ফাইভার থেকে একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম করবেন। তাহলে চলুন আর্টিকেলটি পড়ে এগুলো জেনে নেই।

 সূচিপত্র:নিচে যে বিষয় জানতে চান সে বিষয়ে ক্লিক করুন।

  • ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম
  • ফাইভারইভার কি 
  • ফাইভার এর কাজ কি 
  • ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা বেশি 
  • ফাইভারে মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ রয়েছ ফাইভার থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় 
  • মোবাইল দিয়ে ফাইভারে কাজ 
  • ফাইভারে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় 
  • Fiverr থেকে Payonee এ টাকা স্থানান্তর করতে কত সময় লাগতে পারে 
  • ফাইবারে গিগ কতটি গুরুত্বপূর্ণ গিগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ জানুন 
  • উপসংহার 

ফাইভারে একাউন্ট খোলার নিয়ম 

ফাইভারে একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ জানতে চাই কিন্তু কিভাবে খুলবেন। সে সম্পর্কে ধারণা দেখেন না। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ফাইবার একাউন্ট খোলার সহজ নিয়ম সম্পর্কে আশা করি জেনে নিতে পারবেন। আপনি যদি ফাইভার কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে এর জন্য আপনাকে ফাইভারে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। 
আপনি কিভাবে ফাইভারে একাউন্ট খুলবেন। এ বিষয়ে সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন। তাহলে চলুন এবার জেনে আসা যাক ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম, 
ফাইভারে একাউন্ট খোলার জন্য আপনার পিসি কিংবা মোবাইল ফোন থেকে Mozilla firefox অথবাGoogle chrome বা আপনার পছন্দের যে কোন ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করুন। ফাইভারে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে সাইন আপ করবেন। তাহলে এক্ষেত্রে আপনি গিগ টিকে ডেক্সটপ ভিউ করে ফেলুন। এতে আপনি সুবিধার সাথে কাজটি করতে পারবেন। এবার আপনি এড্রেস বার এ Fiverr.com লিখে এন্টার বাটনের চাপ দেন দেখবেন আপনার সামনে একটি পেজ চলে এসেছে। 
এই পেজের ওপরের দিকে ডান পাশের কোনাতে Join নামক একটি বাটন আছে এখানে ক্লিক করুন। আপনি যদি জয়েন বাটনে ক্লিক করে থাকেন। তাহলে আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। এবং যেগুলোতে আপনি নিজের অপশন গুলোর মত ফাইভার একাউন্ট সাইনআপ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপশন পাবেন। এগুলো হলো, continue with Facebook, continue with Google, continue with apple, email ইত্যাদি।
ইমেইল ছাড়া বাকি তিনটির ভেতরের যেকোনো একটিতে ক্লিক করলে তা আপনার ফাইভার একাউন্ট অটোমেটিক তৈরি করে দিবে এবং সরাসরি আপনাকে ফাইভারের যে ড্যাশবোর্ড আছে সেখানে নিয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রফেশনালি ভাবে ফাইবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান। তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে ইমেইল দিয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতির মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে হবে এবং আপনাকে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
 আপনি যদি কন্টিনিউ বাটনে চাপ দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার সামনে একটিে গুগলপেজ ওপেন হবে যেখানে ইউজার নেম এবং টুলসকে পাসওয়ার্ড নাম বক্স পেয়ে যাবেন সেখানে আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করুন। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই আট ডিজিটের দিতে হবে এবং এটা যেন অনেক শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হয়। কারণ দুর্বল পাসওয়ার্ড হলে সহজে অন্য কেউ আপনার এই পাসওয়ার্ড লিক করতে পারে। 
ফাইভার থেকে আপনাকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে সাধারণ এটা হচ্ছে ফাইভার এর একাউন্ট ভেরিফাইয়ের পদ্ধতি তবে হ্যাঁ এই ভেরিফিকেশন করার সময় অবশ্যই আপনি সাইনআপ করার সময় যে জিমেইল দিয়েছেন। অবশ্যই আপনাকে সেই একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে এবং ক্লিক করতে হবে অ্যাক্টিভ ইওর একাউন্ট বাটনে। এভাবে আপনার একাউন্টটি ভেরিফাই হয়ে যাবে। আপনার fiver account প্রোফাইল সম্পন্ন করুন এই প্রোফাইলে আপনার নাম ছবি এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং আপনার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরুন। এছাড়াও এখানে ক্লিক স্কেল টেস্ট দিতে হয়। এগুলোর সাথে আপনার ভাষা ও লোকেশন সিলেক্ট করতে হবে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে এছাড়াও যুক্ত করতে হবে ব্যাংক একাউন্ট এ সকল তথ্যগুলো দিয়ে ফাইভার একাউন্ট টি পরিপূর্ণ করুন।
আশা করছি আপনি খুব ভালোভাবে জেনে গেছেন কিভাবে ফাইভার এ একাউন্ট খুলতে হয়। তবে যারা নতুন ভাবে ফাইভার একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তারা একাউন্ট খোলার আগে অবশ্যই ফাইভারের টার্মস এবং কন্ডিশন গুলো ভালো ভাবে পড়ে নিবেন।

ফাইভার কি 

ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম-ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা আপনি যদি ফাইভারে কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ফাইভার সম্পর্কে। চলুন তাহলে শুরুতেই আমরা জেনে আসি ফাইভার কি, সাধারণত ফাইবার হচ্ছে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। ফ্রিল্যান্সিং জগতে অন্যতম সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফাইবার যেখানে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেমন, 
  • ট্রান্সলেশন
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • টি শার্ট ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • এসইওঅপটিমাইজেশন
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • প্রোগ্রামিং এবং 
  • সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং
সহ আরো অনেক ধরনের কাজ। যে কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ফাইভারে কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। 

ফাইভারের কাজ কি 

আপনি যদি ফাইভারে কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ফাইভার হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম একটি সেরা মার্কেটপ্লেস। কিন্তু অনেকেরই অজানা ফাইভারের কাজ সম্পর্কে। আপনিও যদি না জেনে থাকেন ফাইভার এর কাজ কি তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ এখন আমরা আলোচনা করব ফাইভারের কাজ সম্পর্কে। ফাইভার হলো একটি উন্নতম অনলাইন প্লাটফর্ম যেটি ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন ধরনের সেবাগুলো অফার দিয়ে থাকে এবং এগুলোর সাথে সংযুক্ত করে। সাধারণত এটি একটি মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তি বা ব্যবস্থা গুলি যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি।
 
বিষয়গুলো বিস্তুত আকারে পরিষেবা ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারে। সাধারণত ফাইভারে একটি প্রোফাইল তৈরি করে এবং সেখানে তাদের পরিষেবা গুলোকে তালিকা ভুক্ত রাখে। সাধারণত এগুলোকে গিগ বলা হয়ে থাকে এ সকল পরিষেবা গুলো একটি নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। যারা ক্রেতা রয়েছে তারা এ সকল চাহিদাগুলোকে পূরণ করতে এই অফার গুলো ব্রাউজ করতে সক্ষম হয়। যারা ফ্রিল্যান্সার আছে ফাইভার তাদের এই দক্ষতা গুলোকে প্রদর্শন করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে থাকে‌।

ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা বেশি অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন তাহলে আমরা এই বিষয়ে জেনে আসি কোন কাজগুলো করলে আপনি ফাইভারে বেশি চাহিদা পাবেন। 
ডিজিটাল মার্কেটিং: ফাইবার যে সকল কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে তার ভেতর একটি অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এসিও অপটিমাইজেশন, ইমেল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং, সহ পিপিসি বিজ্ঞাপনের মত কাজের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর রয়েছে দারুন এক ভূমিকা। গ্রাফিক্স ডিজাইন: সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স লোগো ডিজাইন ব্র্যান্ডিং এবং ইলাস্ট্রেশন মতো এ সকল কাজগুলো চাহিদা সব সময় বেশি থাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ফাইভার এ অনেক অনেক টাকা ইনকাম করেছে খুব সহজেই। 
ভিডিও এডিটিং এবং এনিমেশন: বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিটিং এবং সেগুলো এনিমেশন করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তুর সাথে এগুলো উত্থান সম্পাদনা এবং বিনোদন সহ শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য বলে ধারাবাহিকভাবে এখানে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। 
লোগো ডিজাইন: বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির গুলো তাদের ব্যবসা আরো উন্নত করার জন্য সুন্দর এবং আকর্ষণীয় লোগো পাওয়ার জন্য ফাইবার ব্যবহার করে। এ সকল লোগো গুলো পাওয়ার জন্য ফাইভারে যে ক্লাইন্টগুলো রয়েছে তারা প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করে থাকে। এক একটি লোগো ৮০ থেকে ১০০ ডলার দেয়। 

ফাইভার মার্কেটপ্লেস এ ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ রয়েছ 

ফাইভার মার্কেটপ্লেস এর ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ আছে তাই আমরা এখন জানব। নিশ্চয়ই এতক্ষণ আর্টিকেল পড়ে আপনি জেনে গেছেন ফাইভার অ্যাকাউন্ট কি করে খুলতে হয় ফাইভারে কোন কাজে চাহিদা বেশি চরণ তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফাইভার মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ রয়েছে Fiverr ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক কাজ রয়েছে যে কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি Fiverr থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।যেমন, 
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন 
  • আর্টিকেল এবং ব্লক পোস্ট 
  • অনুবাদ ও সম্পাদনা 
  • ওয়েবসাইট কনটেন্ট লেখা 
  • টি শাট ডিজাইন 
  • সোশ্যাল মিডিয়ার ডিজাইন 
  • ভিডিও মার্কেটিং 
  • ক্যারেক্টার অ্যানিমেশন 
  • ইমেইল মার্কেটিং 
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 
  • জাভা স্টিপ ডেভেলপমেন্ট 
  • এসটিএমএল এবং সিএসএস ডেভেলপমেন্ট 
  • ছবি এডিটিং 
  • লোগো ডিজাইন 
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট 
এছাড়াও ফাইবার মাল্টিপ্লেসে এমন হাজার কাজ রয়েছে যে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। 
ফাইভার থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় \

Fiverr থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

সাধারণত ফাইবার হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর একটি অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম। আপনি যদি এখানে একটি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি যে সার্ভিসগুলো দিয়ে থাকেন সেগুলোর সাজিয়ে রেখে গিগ আকারে রাখতে পারেন। যাতে করে এগুলো পছন্দ করে আপনাকে বেছে নিতে পারে। যে কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি বাইরের কাজগুলো করতে পারবেন। প্রথমে আপনি যে কাজটি অনেক ভাল পারেন ও যে বিষয়ে আপনার অনেক বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে বিষয়টা নিয়ে ভাবুন উদাহরণস্বরূপ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি এবার আপনার নিজের একটি ফাইবার সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলুন। 
এখন যদি তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে নিজের প্রোফাইল সেটিং এ গিয়ে আপনার প্রোফাইল পিকচার এবং আপনার কাজের বিষয় ইত্যাদি বিষয় গুলো সেট করুন। এখানে আপনাকে নিজের একটি ফাইভার গিগ তৈরি করতে হবে। কি হলো সেই বিষয়টা যেটা আপনি বিক্রি করার মাধ্যমে ফাইভার থেকে টাকা আয় করতে চান। সেই বিষয়টা যেটা আপনি বিক্রি করার মাধ্যমে ফাইবার থেকে টাকা আয় করতে চাচ্ছেন। আপনি যে সকল কাজগুলো করতে পারবেন এবং কাজ করার বিনিময়ে বায়ারের থেকে কত টাকা নেবেন এবং এটা কত সময়ের ভিতরে ডেলিভারির উপরে দিতে পারবেন সবকিছু আপনাকে ফাইবার গিগ তৈরি করার সময় দিয়ে দিতে হবে। যখন কোন কোম্পানি অথবা ক্লাইন্ট বা ব্যক্তি আপনার ফাইবার পাবলিশ করার গিগ অনুযায়ী আপনাকে কাজ দিবে। তখন তার দেওয়ার সময় অনুযায়ী আপনাকে এই কাজগুলো করে দিতে হবে।
আপনি যদি সফল ভাবেন নিজের কাজ সময়মতো ক্লাইন্ট কে করে দিতে পারেন তাহলে সে কাজের বিনিময়ে ফাইবার থেকে আপনি টাকা পেয়ে যাবেন। একটা বিষয় মনে রাখবেন যে প্রত্যেকটি কাজ অর্ডার করার সঙ্গে সঙ্গে ফাইবার দ্বারা সেই কাজের দাম যেটা হয় তা ক্লায়েন্ট থেকে নিয়ে নেয়। এজন্য আপনি যদি কাজ ঠিকভাবে সময়মতো করতে পারেন তাহলে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। 

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ 

আপনি তো আর্টিকেল পড়ে জেনে গেছেন ফাইবার কিভাবে এখন খুলতে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধরুন আপনি ফাইভার এখন খুলেছেন এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে ফাইভার কিভাবে কাজ পাবেন চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ আর্টিকেলে এই অংশে আমরা আপনাকে জানাবো কিভাবে আপনি ফাইভার কাজ পাবেন। ফাইভারের বিভিন্ন ভাবে আপনি কাজ পেতে পারেন। তার ভিতরে অন্যতম বিষয়ে একটি পদ্ধতি হল গিগ প্রকাশ করে কাজ নেওয়া। কি হচ্ছে একটি প্রপোজাল বা প্রস্তাব যেখানে কাজের স্কিল গুলোকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করে রাখতে হয়। আর এই গিগ করার পর এটা দিয়ে এসইও করতে হয় এবং নিজের প্রোফাইলে সেটা পাবলিশ করতে হয়। 
যখন আপনার প্রোফাইলে এটা পাবলিশ করবেন তারপরে আপনাকে সব সময় এটা চেক করতে হবে ডাউন যেন না হয় এবং এই গেগ বায়ার কিংবা ক্লাইন্টরা সার্চ করলে যে কোন সময় এটা তাদের সামনে চলে আসতে পারে। গিগের ভিতরে আপনি যেগুলো সাজিয়ে রেখেছেন বায়ার বা ক্লায়েন্টের যদি এগুলো পছন্দ হয়। তবে তিনি এই কাজগুলো যদি আপনার থেকে করে নিতে চাই তাহলে সে মেসেজ দিবে এবং আপনাকে এই মেসেজের রিপ্লাই দিতে হবে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন। 

FiverrথেকেPayoneer এ টাকা স্থানান্তর করতে কত সময় লাগতে পারে

আপনি ফাইভারে যদি একাউন্ট খুলে থাকেন আর যদি কাজ করে থাকেন তাহলে আপনাকে জানতে হবে ফাইবার থেকে Payoneer টাকা স্থানান্তরের সময় সম্পর্কে। তাই এখন আমরা আপনাকে জানাবো ফাইবার থেকে পেওনেয়ার টাকা স্থানান্তর করতে কত সময় লাগে এ বিষয়ে সম্পর্কে। প্রথমে বলে রাখি ফাইবার থেকে সরাসরি আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন না এক্ষেত্রে আপনাকেও বিদেশের কোন ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে বাংলাদেশীদের কাছে জনপ্রিয় একটি বিদেশি ব্যাংক হচ্ছে পিওনিয়ার আর এই পিওনিয়ার থেকে আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকে খুব সহজে অল্প সময়ের ভেতরের টাকা নিতে পারবেন। 
ফাইভার থেকে প্রিমিয়ারের যদি কেউ টাকা নিয়ে আসতে চায় তাহলে এক্ষেত্রে সে যে সময় বরং এটা হচ্ছে দুই কর্ম দিবস অথবা তারা যে সময় গুলোতে কাজ করে সেই সময় বার টাইপ যদি আধ ঘন্টা হয় তাহলে দুইদিন হতে যে সময় প্রয়োজন হবে ঠিক ততদিন সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে। ফাইবার যখন একটা অর্ডার কমপ্লিট করবে আর এই অর্ডারের ওপর যখন ১৪ দিন অতিক্রম করবে তখন সে ডলার টা নিয়ে আসতে পারবেন পিওনিয়ারে। 

ফাইবারে গিয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন ও গীগ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ 

ফাইবারে দিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ফিন্যান্সিং সম্পর্কে যারা ধারণা রাখেন তাদের জন্য জানাটা অপরিহার্য আরো সহজ করে যদি বলি ধরুন পড়াশোনা শেষ করলেন তবে চাকুরী করার ক্ষেত্রে অবশ্যই জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি তৈরির প্রয়োজন হয় কেননা এই সিভি চাকরির প্রত্যাশার ক্ষেত্রে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে ঠিক তেমনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই থাকবে।
ফাইবার এখন খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে গিট তৈরিতে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছে।সেগুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন ফাইবারের গিফট কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে যা কাজ পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে যে সকল বিষয়গুলো গিগ তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হয় সেগুলো হচ্ছে  নিম্নে দেয়া হলো 
  • গিগ রিকোয়ারমেন্টস 
  • গিগ ইমেজ 
  • গিগ ভিডিও 
  • গিগ ডিসক্রিপশন 
  • গিগ প্যাকেজ 
  • গিগ ক্যাটাগরি 
  • গিগ টাইটেল ইত্যাদি 
গিগ বায়ার কিংবা ক্লাইন্টরা সার্চ করলে যে কোন সময় এটা তাদের সামনে চলে আসতে পারে। গিগের ভিতরে আপনি যেগুলো সাজিয়ে রেখেছেন বায়ার বা ক্লায়েন্টের যদি এগুলো পছন্দ হয়। তবে তিনি এই কাজগুলো যদি আপনার থেকে করে নিতে চাই তাহলে সে মেসেজ দিবে এবং আপনাকে এই মেসেজের রিপ্লাই দিতে হবে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন।

উপসংহার 

ফাইবারে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার সবথেকে বেশি যেটা দরকার সেটা হচ্ছে আপনার অভিজ্ঞতা। যার যত বেশি অভিজ্ঞতা থাকে তিনি সে পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারে। তবে ফাইভার যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এর জন্য আপনাকে সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে এবং গিগ তৈরি করতে হবে যা আমরা আর্টিকেলের ভিতরের আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। নিশ্চয়ই আপনি এগুলো জেনে গিয়েছেন আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে।
প্রিয় পাঠ আজকে আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয় জেনে গেছেন ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।কোথাও যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে সঙ্গে থাকার জন্য আর্টিকেলটির পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url