ফেসবুক মার্কেটিং কেন এবং কিভাবে করবেন -কম খরচে ফেসবুক মার্কেটিং

ফেসবুক মার্কেটিং হল কোন পণ্য বা সেবা ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া হলো ফেসবুক মার্কেটিং। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছ এই যুগেও কেন ডিজিটাল মার্কেটিং পেশা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের এআই প্রযুক্তি বা এ আই টুল থাকার পরেও কেন ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ এর সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানব। এআই টুল গুলো মানুষের মতো সৃজনশীল, বুদ্ধিমত্তা, বা অভিজ্ঞতার প্রকাশ ঘটাতে পারে না এবং এর ফলে সঠিকভাবে গ্রাহক সেবা প্রদান করা সম্ভব হয় না। ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদার খুব সহজে দক্ষতার সাথে নিজস্ব সৃজনশীলতা ও কৌশল গুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং সঠিকভাবে গ্রাহক সেবা প্রধান করতে পারে।

এদিক থেকে এআই টুলের তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেশা সুবিধা ও লাভজনক বর্তমান যুগে এ প্রযুক্তি দ্বারা সকল কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হলেও ব্যক্তিগত সৃজনশীল, কৌশল, এবং অভিজ্ঞতার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং পেশা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। সারা বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং পেশার গুরুত্ব অনেক বেশি। যেহেতু অনলাইনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো করা যায় তাই একটি বিশাল জনগোষ্ঠী এই সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে।

সূচিপত্র: ফেসবুক মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধাপসমূহ,

  • ফেসবুক মার্কেটিং কেন এবং কিভাবে করবেন 
  • ফেসবুক মার্কেটিং কি 
  • ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার 
  • ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম 
  • ফেসবুকে পেজ খোলার নিয়ম
  • ফেসবুক  মার্কেটিং টিপস 
  • ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় 
  • কম খরচে কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করবেন 
  • ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কী বোঝায় 
  • শেষ কথা 

ফেসবুক মার্কেটিং কেন এবং কিভাবে করবেন 

ফেসবুক মার্কেটিং হল এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম যার মাধ্যমে ব্যবসার পূর্ণ এবং সেবার ব্যাপারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে জানান দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৪২ কোটি যার মধ্যে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন facebook ব্যবহার করছে। প্রতিদিন মিনিমাম ৩০ মিনিট সময় ফেসবুকে ব্যায় করে না এমন লোকের সংখ্যা আমাদের দেশে খুব কম আছে। সুতরাং বুঝতে পারছেন আপনি যদি এই ফেসবুক মার্কেটিং ভালোভাবে শিখতে পারেন এবং করতে পারেন তাহলে কত সহজে আপনার পণ্যের বা সেবা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। 

ফেসবুক ছোট থেকে বড় আমাদের সকলের কাছে এই নামটা  খুব বেশি পরিচিত। আর পরিচিত কেন বা হবে না বর্তমানে একটি শিশু বাচ্চার জন্মের পরে তার ছবি আপলোড হয়ে যায়। ফেসবুক বর্তমানে সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি দেশ এবং দেশের বাইরের নানা ধরনের মানুষের সাথে যেমন পরিচিত হতে পারেন ঠিক তেমন অনেক অজানা কিছু সম্পর্কে আপনি জানতে পারেন। অজানা জিনিস দেখতে পারেন ফেসবুক এবং সময় শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হলেও সময়ের পরিবর্তনের ফেসবুক এখন সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেস থেকে যেমন প্রতি মাসে একটা ভালো ইনকাম করা যায় ঠিক তেমনি সঠিক উপায় মার্কেটিং করে নিজের পণ্য বা সার্ভিসকে খুব কম সময়ের মধ্যে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। 

ফেসবুক মার্কেটিং কি 

ফেসবুক মার্কেটিং হলো এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম যার মাধ্যমে ব্যবসার পণ্য এবং সেবার ব্যাপারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে জানান দেওয়া হয়ে থাকে। আপনার কোন পণ্য বা সেবা ফেসবুকের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া হলো ফেসবুক মার্কেটিং। এটাকে ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয় এই কারণে যে আপনি পেইড পণ্য বা সার্ভিস ফেসবুকের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন সেটা হতে পারে একটা ছবির মাধ্যমে, একটি শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে অথবা কোন মোশন গ্রাফিক্স এর ভিডিওর মাধ্যমে। 

ফেসবুক মার্কেটিং করতে খুব বেশি কিছু লাগবে না, লাগবে ফেসবুক মার্কেটিং এর সঠিক নিয়ম জানা আর যা লাগবে সেটা হল স্মার্ট এবং সুন্দর একটি ফেসবুক পেজ বা বিজনেস পেজ। অর্থাৎ খুব কম সময়ে কম খরচে অনেক মানুষ কে আপনি জানিয়ে দিতে পারবেন আপনার পণ্য বা সার্ভিসটি সম্পর্কে যদি আপনি ফেসবুক মার্কেটিং সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে এই মার্কেটপ্লেস থেকে প্রতিমাসে একটা ভালো ইনকাম করা সম্ভব।

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার 

ফেসবুক মার্কেটিং মূলত আপনি দুই ভাবে করতে পারেন ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এবং পেইড ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ফ্রি এবং পেইড ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করা হয়।

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং: ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং বলতে বুঝায় যে মার্কেটিং করতে আপনার কোন টাকা বা ডলার খরচ করতে হয় না উপায়ে আপনার পণ্য বা সার্ভিস কিছু মানুষের কাছে পৌঁছানো যেমন আপনার facebook এর কোন একটি পোস্ট সেটা হতে পারে কোন ছবি বা ভিডিও। আরো সহজ করে যদি বলি ধরুন আপনার ফেসবুক আইডিতে বা আপনার কোন পেজে আপনি কোন ছবি বা শর্ট ভিডিও পোস্ট করলেন সেটা কারো কারো দেখতে পাবে পারবেন সেটা শুধু আপনার যারা ফ্রেন্ডলিস্ট রয়েছে বা যারা আপনার পেজে লাইক দিয়েছে শুধু তারা দেখতে পাবে পারবে সেক্ষেত্রে আপনার কোন ডলার বা টাকা খরচ হলো না আপনার আশেপাশে কিছু মানুষ শুধু এই পোস্টে দেখতে পারবেন এবং এই সার্ভিস সম্পর্কে জানতে পারবে এটাকে মূলত বলে ফ্রিজ ফেসবুক মার্কেটিং।

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে যেমন,

সুবিধা: ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর তেমন কোনো সুবিধা নেই বলার মত শুধু একটা সুবিধা রয়েছে সেটা হল ফ্রিতে মার্কেটিং করা যায় তবে ছোটখাট বিজনেস এর জন্য ফ্রি মার্কেটিং ভালো তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বিজনেস পেজ অথবা আইডিতে ভালো ফ্যান ফলোয়ার থাকতে হবে। 

অসুবিধা: ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর অসুবিধা হলো আপনি চাইলে কিন্তু আপনার মত করে বেশি মানুষের কাছে আপনার পূর্ণ বা সার্ভিসটি মার্কেটিং করতে পারবেন না যারা আপনার পেজ লাইক দেওয়া বা যারা আপনার আইডিতে ফ্যান শুধু মাত্র তারা আপনার পোস্ট দেখতে পারবে বাহিরের মানুষ দেখলেও সেটা অনেক কম। 

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং: সাধারণত ফেসবুক নিউজ পিডে যে পোস্টগুলো স্পন্সর লেখা থাকে সেসব পোস্টটি হল পেইড ফেসবুক মার্কেটিং আরো সহজভাবে বলতে গেলে টাকার বিনিময়ে ফেসবুক যেসব বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় পেইড ফেসবুক মার্কেটিং বা পোস্ট বলা হয়ে থাকে । এর মার্কেটিং একটি ফলপ্রসূ মার্কেটিং। কারণ এর মাধ্যমে সহজেই আপনার কাঙ্খিত কাস্টমারের কাছে আপনার পণ্য বা সার্ভিস পৌঁছাতে পারবেন। আপনি কার কাছে কোনো পচাতে চাচ্ছেন সেটি নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন নারী পুরুষ মহিলার বয়স অনুযায়ী আপনি মার্কেটিং টার্গেট সিলেক্ট করে দিতে পারবেন পেইড মার্কেটিং এ। এ ধরনের বিজ্ঞাপন সাধারণত ফেসবুক নিউজ ফিডে বিভিন্ন পণ্যের স্পন্সর পোস্ট হিসেবে শো হয় এবং ফেসবুক এর ডান পাশে বিভিন্ন ফোনে ছবি বা অফার আকারে শো হয়।

আরো পড়ুন: এআই  সম্পর্কে বিস্তারিত,

আর হ্যাঁ ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর জন্য আপনার একটি সুন্দর ফেসবুক পেজ থাকতে হবে ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এ সফল হতে হলে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার সম্পর্কে জানতে হবে কারন ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার থেকে আপনি আপনার টার্গেটেড মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন করতে পারবেন কিভাবে ফেসবুক এড ম্যানেজার এর মাধ্যমে আপনার বিজ্ঞাপন টার্গেটিং মানুষের কাছে পৌঁছাবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম 

প্রত্যেক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা দরকার অন্যথায় কালকে তো ফলাফল লাভ করা সম্ভব না। তেমনি ভাবে ফেসবুক মার্কেটিং থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের উপযোগিতা পেতে ফেসবুক মার্কেটিং এর সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে আপনার ব্যবসায়ী পেজ খুলতে হবে যাতে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারে দেওয়া থাকবে যেমন পণ্যের তালিকা ছবি কি ধরনের সার্ভিস পাওয়া যাবে কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী কেমন অফার দেওয়া হবে ইত্যাদি। 

আপনার পেজটি সুন্দরভাবে সাজাতে হবে আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্ক রেখে একটা নাম দিতে হবে। 

ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহার করে কিভাবে পিকচার দিতে হবে তেমনি ভাবে প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করতে পারেন। 

অতঃপর আপনার পণ্য অথবা সেবার ব্যাপারে জানিয়ে পোস্ট দিতে হবে। 

তারপর আপনার পণ্য বাসে এবার গ্রাহকদের কাছে তিনটা করে আপনার ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করতে হবে। 

কোন বয়সের কোন ধরনের গ্রাহক আপনার পণ্য বা সেবা পেতে আগ্রহে তাদের চিহ্নিত করে আপনার পোস্ট সাজাতে হবে সেটা লিখে অথবা পিকচার এর মাধ্যমে হতে পারে। নিয়মিত আপনার পেজ এবং পণ্য বা সেবার বিষয়ে আপডেট থাকতে হবে। কমেন্ট ও মেসেজের গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে যে কোন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

ফেসবুকে পেজ খোলার নিয়ম 

আমরা সকলেই জানি ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য নিজস্ব facebook পেজ থাকা জরুরী । প্রথমে আপনার মোবাইল থেকে ফেসবুক অ্যাপটি ওপেন করতে হবে। ফেসবুক অ্যাপ ওপেন করার পর ডান দিকে কর্নারে যে তিন ডট অপশন এখানে ক্লিক করতে হবে। তারপর মেনু অপশন থেকে পেস্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ক্রিয়েট পেজ অপশন কি ক্লিক করতে হবে গেট স্টেটস আসবে এতে ক্লিক এটাতে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনাকে পেজের জন্য একটি নাম নির্ধারণ করতে হবে বা আপনি যে নাম দিতে চান এই নাম দিতে হবে। তারপর আপনার পেজ যে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর নেক্সট অপশন ক্লিক করতে হবে। তারপর ওয়েবসাইট নাম/লিঙ্ক পেজ, পেজে ছবি যুক্ত করতে হবে যদি ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে ওপরে স্কিপ অপশন ক্লিক করে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার ফেসবুক পেজের কভার ফটো এবং প্রোফাইল ফটো আপলোড করতে হবে। নিচের ডান বাটানে ক্লিক করতে হবে এরপর আপনার ফেসবুক পেজ খোলার কাজ শেষ হবে বা আপনার পেজ তৈরি হয়ে যাবে। 

এছাড়া আপনার পেজে থেকে হোমপেজ ের এডিট পেজ সেটেল অপশন ক্লিক করে এডিট ইওর এবাউট information অপশনে ক্লিক করে ডেসক্রিপশন লোকেশন ইমেইল ফোন নাম্বার এটা দিয়ে বলে আপনি দিতে পারেন উপরের সব নিয়ম গুলো এভাবেই আপনি একটি ভেরিফাই facebook পেজ খুলতে পারেন বা তৈরি করতে পারেন 

ফেসবুক পেজ তৈরি করার পর আপনাকে সঠিকভাবে পেজে সেটিং দিতে হবে কেননা সঠিকভাবে পেজে সেটিং না দিলে আপনি যে কাজ পেজে কাজের জন্য পেজ খুলছেন তার কাঙ্খিত ফল পাবেন না তার জন্য সেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই একটি নতুন ফেসবুক পেজ খোলার পর সেটিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুক মার্কেটিং টিপস 

ফেসবুক মার্কেটিং এ ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস রয়েছে যা ফেসবুক মার্কেটিং টিপস নামে পরিচিত। এই ফেসবুক মার্কেটিং টিপস হল সঠিকভাবে অনুকরণের ফলে আমরা লাভবান হতে পারি। লক্ষ্য স্থির করতে হবে কিছুই যেন শর্টকাট আকারে না হয় যেহেতু ব্যবসা একটু চলমান প্রক্রিয়া তাই এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে আপনার সকল প্রকার কনটেন্ট পোস্ট ব্যাংক প্রমোশন যাতে লম্বা সময় ধরে আউটপুট দিয়ে থাকে সে অনুযায়ী হতে হবে। ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যার রেশ দীর্ঘদিন ধরে থাকে কন্টেন্ট হচ্ছে প্রাণ এমন ভাবে কনটেন্ট বানাতে হবে যাতে পরবর্তী সময় পুনরায় পোস্ট দেয়া হলেও গ্রাহকের আগ্রহ আগের মতই সমানভাবে সুপ্রিয় থাকে। 

ফেসবুক মার্কেটিং পুরোটাই আপনি কিভাবে উপস্থাপন করছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার পণ্য বা সেবার মাধ্যমে গ্রাহক কিভাবে উপকার পেতে পারে তার ধারণা দিয়ে ভিডিও ব্যবহার করে পেস্ট দেওয়া যেতে পারে। আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং এ ভালো করতে চান তাহলে আপনার পেজ পোস্ট অফারের ক্ষেত্রে সব সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে এমন যাতে না হয় এক সপ্তাহ খুব একটিভ কিন্তু পরের দুই সপ্তাহে কোন আপডেট নেই বিরতি হল গ্রাহকের আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। মোটকথা আপনার পূর্ণ বা সেবা গ্রহীতা সাথে সর্বক্ষণিক আপনার যোগাযোগ রাখতে হবে। কোনভাবেই কোন গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়া যাবে না গ্রাহকের সকল ধরনের জিজ্ঞাসার ব্যাপারে সক্রিয় থাকতে হবে তাহলে গ্রাহক আপনার পণ্য কথা সেবা গ্রহণের ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদে আগ্রহী থাকবে।

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় 

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার নানান উপায় রয়েছে। বর্তমানে অনলাইন জুনিয়র আয় করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক আপনি চাইলে আপনার পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন অনায়াসে। ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার কয়েকটি উপায় আপনার জন্য তুলে ধরা হলো, 

ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয় করার প্রথম ধাপ হল আপনার পেজের প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার্ড থাকতে হবে বেশি ফলোয়ার মানে আপনার পোস্টটি বেশি সংখ্যক গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ ও পণ্যের প্রচারের সহায়তা করবে। 

ফেসবুক পোস্ট এর ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করা যায় আমরা সকলেই কোন সেলিব্রিটির ফেসবুক পেজ ফলো করে থাকি। তাদের পেজের পণ্যের প্রচারের মতো জন্য মাঝে মাঝে পোস্ট দেওয়া হয় যেমন মেসি রোনাল্ডো ফেসবুক পেজ থেকে এডিডাস অথবা নাইকের নতুন কোন জুতা নিয়ে পোস্ট দেওয়া হয় প্রতিটি পোস্টের বিনিময়ে তারা লাখ লাখ টাকা পেয়ে থাকে তেমন ভাবে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে কোন কোম্পানির ফোনের পোস্ট দেওয়ার বিনিময়ে আপনি কোম্পানি থেকে টাকা আয় করতে পারেন। 

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার অন্যতম আরেকটি উপায় হল অনলাইন স্টোর এর প্রমোশন কোন কোম্পানির অনলাইন প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য আপনি তাদের পেস্ট নিয়ে পোস্ট শেয়ার দিতে পারেন যেমন আরং অথবা ইয়োলো পেজ এর প্রচারের মাধ্যমে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারেন।

আরো পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা

ফেসবুক ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করা যায় আপনার ভিডিও কন্টেন থেকে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন সম্প্রতি ফেসবুক ভিডিও কন্টেন্ট থেকে আয় করার সার্ভিস চালু করেছে তবে তার জন্য নির্দিষ্ট  পরিমাণ ভিউয়ার এবং নির্দিষ্ট সময় ভিডিও দেখা লাগবে

ফেসবুক পেজ বিক্রির মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় আপনার পেজে যদি লাভের উপরে ফলোয়ার হয় অনার্সে ভালো দামে আপনার পেজটি বিক্রি করতে পারবেন। 

আপনার ব্যবসা অথবা সেবা প্রচারণা করে ব্যাপকভাবে সেল বৃদ্ধি করতে পারেন যাতে আপনার সরাসরি লাভবান হন আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু ও পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।

কম খরচে কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করবেন 

বড় ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে আসলে ফেসবুক মার্কেটিং খরচ তেমন বড় কোন চ্যালেঞ্জ না। কেননা তাদের অভিজ্ঞতা এবং বাজেট দুটি বেশি থাকে যার ফলে তাদের সাথে সাথে রিটার্ন যেমন দরকার হয় না আবার একইভাবে তাদের বাজেট বেশি থাকার কারণে তাদের কনটেন্ট টুলস এবং হিউম্যান রিসোর্স নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। সবকিছুতেই তারা সেই গুণগতমানের দিক নজর দিতে পারে তবে ছোট ব্যবসা গুলোর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ভিন্ন। ছোট ব্যবসার মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এমন একটি সলিউশন করতে হবে যা কম খরচে করা যায়। কম রিচার্জ দরকার হয় এবং টুলসের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্পর্কিত ব্যবহার করা যায় কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে কথা বলতে চাইলে বিশেষ, করে খরচ সংক্রান্ত তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফেসবুকের ক্ষেত্রে আসলে খরচ গুলো কোথায়। ফেসবুক মার্কেটিং এর খরচ মূলত এই চারটি জায়গায়,

  • কনটেন্ট ইমেজ ভিডিও টেক্সট ইত্যাদি 
  • টুলস রিসার্চ অটোমেশন ইত্যাদি 
  • বিজ্ঞাপনের খরচ 
  • হিউম্যান রিসোর্স 

আরো পড়ুন: ফেসবুকে রেস্ট্রিকশন কারণ

আপনার কন্টেন্ট মূলত কাদেরকে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে এবং এর সাথে কাদের এনগেজমেন্ট আছে তা বোঝার চেষ্টা করে থাকে ফেসবুক। যারা এঙ্গেজ থাকে আপনার কনটেন্ট গুলো তাদের নিউজফিডে বেশি দেখাবে কনটেন্ট এর ধরননের ওপর নির্ভর করে তা নিউজফিডে দেখানো হয়ে থাকে বর্তমান সময়ে ভিডিও এবং ইমেজ কন্টেন্টকে ফেসবুক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আমরা সবাই জানি ফেসবুক মূলত ডিসেন্ট আপডেটগুলো নিউজ ফিড বেশি দেখায় তাই পুরনো পোস্টগুলো কারো নিউজ ফিডে নতুন ভাবে নাও দেখাতে পারে যদি সেটা কোন ভাইরাল কনটেন্ট হয় তাহলে অবশ্য ভিন্ন ব্যাপার। ফেসবুকের এই এলগরিদম বোঝাটা এত সহজ বিষয় নয়। ভিতরে আরও অনেক বিষয় রয়েছে তবে এই সব কিছুর পর আমাদের যে বিষয়টি আগে বুঝতে হবে সেটা হলো কাস্টমার কিভাবে চিন্তা করে একই মানুষ কিন্তু এক এক প্লাটফর্মে এক এক রকম ভাবে বিতরণ করে। তাই এই ব্যাপারে আপনি যত ভালোভাবে জানবেন আপনি তত বেশি মানুষের কাছে রিচ করতে পারবেন।এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কম খরচে ফেসবুক মার্কেটিং এর ৮ সহজ কৌশল,

  • পার্সোনাল ফেসবুক প্রোফাইল কে ব্যবহার করুন: মানুষ মানুষের সাথে কানেক্ট করতে পছন্দ করেন। ব্যক্তিগতভাবে এসএমএস বা কমেন্ট কথা বলতে মানুষ বেশি পছন্দ করে তাই আপনার ব্র্যান্ড যত বড়ই হোক আপনার পার্সোনাল অ্যাক্টিভিটি মানুষের প্রভাববিত করবে তাই আপনি একজন উদ্যোক্তা টপ ম্যানেজমেন্ট মার্কেটের হিসাবে আপনার পরিচিতি বাড়তে পার্সোনাল ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহার করুন। 
  • ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করুন এবং এটি নিয়ে কাজ করুন:ফেসবুক গ্রুপ হচ্ছে কোন এক সম্প্রদায় গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কমিউনিটি বেশিরভাগ মানুষ শুধুমাত্র তার বিজনেস স্পেস নিয়ে ভাবে আর  ভুলে যায় ফেসবুক আরো বেশকিছু টুলস আছে যা খুবই কার্যকারী। ফেসবুক প্রতিনিয়ত পেজগুলো অর্গানিক রিচ কমিয়ে দিচ্ছে তার মানে পেইড মার্কেটিং ছাড়া আপনার পেজের কনটেন্ট গুলো সবাই দেখতে পায় না। অন্যদিকে যেহেতু ফেসবুক গ্রুপ একটি কমিউনিটির মতো এখানে সবাই যার যার মত প্রকাশ করতে পারেন সবার মতামত দিতে পারে এতে করে একটি পণ্য সেবার ভালো মন্দ সে সম্পর্কে সবার মতামত পাওয়া যায়।
  • কনটেন্ট এর মধ্যে ভ্যারিয়শন থাকতে হবে: মানুষ অনেক বৈচিত্র্য প্রাণী মানুষের মন এবং চাওয়া পাওয়া এক জায়গাতে ইচ্ছে থাকে না। কারণ তাদের হাতে অনেক ধরনের অপশন রয়েছে। তাই আপনাকে কাজ করতে হবে তাদের সাথে দীর্ঘস্থায় এবং টেকসই ভালো সম্পর্ক তৈরি করার জন্য আর একজন কনটেন্ট ডাইভারসিটি নিয়ে ভাবতে হবে আর এই লিস্টে সবচাইতে বেশি সংখ্যা হচ্ছে ছোট এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো আপনি তাদের দেখে গেলে দেখবেন তাদের মোটামুটি শতভাগ পোস্ট তাদের পণ্য সম্পর্কিত, বিক্রি সম্পর্কিত যা ইনভেস্টমেন্ট কমছে একদিন শেষে ব্র্যান্ডের গ্রোথ কমে যাচ্ছে। তাই নতুন নতুন কনটেন্ট আইডিয়া জেনারেট করতে হবে কন্টেনের মধ্যে ভেরিয়েশন থাকতে হবে। সব সময় পণ্য বা বিক্রি সম্পর্কে তো কন্টেন্ট পোস্ট না করে ভিন্নতা আনতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে নতুনদের প্রতি সবার আকর্ষণ বেশি।
  • কোয়ালিটি এবং এনগেজমেন্ট নিয়ে ভাবুন কোয়ান্টিটি নিয়ে না: অনেকের মধ্যে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা যায় যে তাদের প্লান হচ্ছে কোয়ান্টিটি নির্ভর। প্রতিদিন একটি করে পোস্ট দিতে হবে অথবা সপ্তাহে পাঁচটা পোস্ট তবে পোস্টের কনটেন্ট কোয়ালিটি নিয়ে ভাবে না। এটা ঠিক যে নিয়মিত কনটেন্ট দিতে হবে তবে তা কোয়ালিটি ছাড় দিয়ে নয়। আপনার কনটেন্ট যদি এনগেজিং না হয় তাহলে আসলে সেই কনটেন্ট আমি যতটুকু সময় এবং টাকা ইনভেস্ট করছেন তা বৃথা। তাই প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে কোন কনটেন্টগুলো বেশি ইনভেস্টমেন্ট জেনারেট করে এবং তা আপনার বিজনেস সম্পর্কিত কিনা আপনার কন্টেন আপনার কাস্টমারের লাইফের ভ্যালু এড করছে কিনা। তার মনের মধ্যে আপনার কন্টাক্ট গুলো কোন ছবি তৈরি করছে কিনা।
  •  কনটেন্ট গল্পের মত সাজানো এবং শেয়ার করুন: মানুষ গল্প শুনতে পছন্দ করে মানুষের মনে তার লম্বা সময় যেতে থাকে মানুষ একে অন্যের সাথে একটি শেয়ার একটি শেয়ার করে বা প্রচারণার পথ তৈরি করে দেয়। তাই আপনার ব্র্যান্ড এবং পন্যের গল্প মানুষকে শোনাতে হবে মিথ্যা গল্পের কথা বলছি না আপনার মেসেজটা কে গল্প আকারে শেয়ার করতে বলেছে। আপনার মার্কেটিং কন্টেন্টের মধ্যে স্টোরি ট্রেনিং ব্যাপারটি থাকতে হবে তাহলে দেখবেন একই কন্টেন্ট বেশি ইনগেজমেন্ট এবং সেল জেনারেটর করবে। 
  • কাস্টমার রিটার্কেটিং বিজ্ঞাপন তৈরি করুন: মানুষ আপনার পণ্য সেবা সম্পর্কে একবার জেনে কিনে ফেলবে তা কিন্তু না আর এখানে বেশিরভাগ মানুষ ভুল করে সে অচেনা মানুষের পণ্য সেবার বিজ্ঞাপন তো দেখায় কিন্তু তাদেরকে রিটার্গেট করে না‌ আবার যখন বিজ্ঞাপন দেয় সেটা নতুন দেব দেয় তারা ভাবে একবার দেখেই কাস্টমার কিনে ফেলবে আর তখনই বিজ্ঞাপন খরচ বেড়ে যায় কিন্তু ব্যক্তি কমে যায় ।
  • কাস্টমার এটেনশন তৈরি করতে হবে: মানুষ যখন ফেসবুক ব্যবহার করে তখন কিন্তু বিজ্ঞাপন দেখার জন্য ব্যবহার করে না কোন পণ্য অথবা সেবা কেনার জন্য ও ব্যবহার করে না তাই এখানে বিজ্ঞাপন দেখালেই বিক্রি বাড়বে এমন ধারণা করা যাবে না আমরা প্রতিদিন অনেক বিজ্ঞাপন দেখি কিন্তু সব বিজ্ঞাপন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে না। কিন্তু এর মধ্যে কোন কিছু ভিন্ন মনে হলে আমরা সেটা একটু হলেও দেখি তাই আমাদের জানতে হবে। কোন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করলে অ্যাটেনশন তৈরি করতে সাহায্য করবে। তাই আপনাকে এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে হবে যা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। 
  • ফেসবুক স্টোরিস অরিয়াস তৈরি: বর্তমান সময় ফেসবুক স্টোরেজ কিন্তু আরেকটা জনপ্রিয় টোস্ট আপনাকে নতুন কাস্টমার পেতে সাহায্য করবে ফেসবুক স্টোরেজদের জন্য আপনি আলাদা কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং আপনার পার্সোনাল প্রোফাইল এবং বিজনেস পেজে স্টোরি হিসেবে শেয়ার করতে পারেন। ফেসবুকে আরো একটি নতুন ফিচার এড করা হয়েছে রিচার্জ নামে ফিচারটির মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারী ছোট ভিডিও তৈরি করতে পারেন পারবেন এবং সেই ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন ।

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কী বোঝায়: 

একটি বিজনেস কে প্রচার উন্নতি এবং ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সকলের সামনে পরিচিত করার এক অন্যতম কৌশল হল ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক কাস্টমারকে বিজনেস এর দিকে আকৃষ্ট করে সেল বৃদ্ধির মাধ্যমে বিজনেসকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুকে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম বলা ডিজিটাল মার্কেটিং। একটি বিজনেসের প্রচার উন্নত ব্যান্ডিং এর মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছায় দেয় মার্কেটিং গুরুত্ব অনেক বেশি। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এক বাক্যে কখনোই মার্কেটিং এর গুরুত্ব কথা বলা শেষ করা সম্ভব নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং হল সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল পরিষেবা। কাঙ্খিত গ্রাহকদের অর্গানিক রিড সোশ্যাল মিডিয়া এর এড ম্যানেজমেন্ট এবং ওয়েবসাইটের মতো মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে যে কোন বিজনেস সফলতা মার্কেটিং। একটি বিজনেস তার লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে সেই সাথে একটি বিজনেস এর প্রচারণা পরিবর্তন।

শেষ কথা 

ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে ফেসবুক মার্কেটিং খুবই কার্যকরী একটি মাধ্যম কিছু না করে ঘরে বসে আছেন মানে আপনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে আছেন তাই দেরি না করে খুব দ্রুত ফেসবুক মার্কেটিং করুন। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমার আর্টিকেলটি পড়বার জন্য ধন্যবাদ।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url